পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় কবির আহমদ চৌধুরী বাজারে মুদির দোকান কর্মচারীকে ধারালো কোড়াল দিয়ে কোপাল দুবৃর্ত্তরা। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতি ও মালামাল ছুড়ে ফেলানোসহ অপ্রীতিকর ঘটনা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা দ্রুত ওই স্থানে গিয়ে উত্তেজনা নিবৃত করেছেন। আহত কর্মচারীকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের নিকট নিয়ে যাওয়া হয়। হাতে কোড়ালের জখম হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা ও জখমী স্থানে ব্যান্ডেজ দিয়ে তাকে প্রেরন করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ২ নভেম্বর দুপুর ২ টার দিকে পেকুয়ার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের নিউ রাজাখালী স্টোর নামের মুদির দোকানে এ ঘটনা ঘটে। আহত কর্মচারীর নাম ওসমান বাবু(২০)। তিনি সদর ইউনিয়নের উত্তরমেহেরনামা চৈরভাঙ্গা এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে। এ সময় ধারালো একটি চাইনিজ কোড়াল জব্দ করা হয়েছে। খবর পেয়ে পেকুয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সেক্রেটারী ও সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দু’ব্যবসায়ীর বিরোধ নিস্পত্তির জন্য ব্যবসায়ী নেতারা বিকেলে বণিক সমিতির কার্যালয়ে রুদ্ধধার বৈঠক করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মালামাল বিক্রির সময় এক ক্রেতাকে নিজেদের ভাগাভাগি করা নিয়ে পেকুয়া বাজারের মেসার্স আশেক এন্ড ব্রাদার্সের মালিক আশেক ও নিউ রাজাখালী স্টোরের মালিক ইমরানের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে আশেক, তার ভাই মাশেক, হাসান ও অজ্ঞাত মকছুদসহ কয়েকজন দুবৃর্ত্তরা রাজাখালী স্টোরে যান। এ সময় উত্তেজিত হন তারা। এক পর্যায়ে ব্যবসায়ী ইমরানকে চাইনিজ কোড়াল নিয়ে আক্রমন করার চেষ্টা করে। এ সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে রাজাখালী স্টোরের কর্মচারী ওসমান বাবুকে কুপিয়ে আহত করা হয়। বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী মিনহাজ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, মালামাল বিক্রি নিয়ে এক ক্রেতাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা নিয়ে ঘটনার সুত্রপাত হয়েছে। আমরা তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ঘটনা বড় হয় নি। আমরা প্রাথমিকভাবে বৈঠক করেছি। এক দিনের মধ্যে ফায়সালা করার কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে আশেক স্টোরের মালিক আশেক উল্লাহ জানায়, ১৪ হাজার টাকার মাল বিক্রি করেছি কোনাখালীর এক ক্রেতাকে। তার সাথে দরদাম হচ্ছিল। এ সময় আমার দোকান থেকে ফুসলিয়ে কাস্টমারকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি হয়েছে। মারধর ও মালামাল তছনছ করা হয় নি।
————————-
পেকুয়ায় বিধবাকে কুপিয়ে জখম
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় বিধবা মহিলাকে কুপিয়ে জখম করেছে দুবৃর্ত্তরা। এ সময় ৩ বছর বয়সী এক শিশুকেও লাথি মেরে জখম করা হয়েছে। গতকাল ২ নভেম্বর সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্লাদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা বিধবা নারীকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। জখমী ওই মহিলার নাম আয়েশা বেগম(৫৫)। তিনি ওই এলাকার মৃত উকিল আহমদের স্ত্রী। শিশুর নাম মোহাম্মদ জুনাইদ। সে ওই মহিলার নাতি বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, আয়েশা বেগম ও তার ভাতিজি টুনটুনির মধ্যে ওই দিন সকালে তুচ্ছ বিষয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এর সুত্র ধরে বেলা ১১ টার দিকে অপর একটি পক্ষ ফরিদুল আলমের স্ত্রী জারু বেগম ও মেয়ে রওশন আক্তার আয়েশা বেগমের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দু’পক্ষই উত্তেজিত হয়ে যান। এর সুত্র ধরে জারু বেগমের স্বামী ফরিদুল আলম ধারালো দা নিয়ে আয়েশা বেগমের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় তাকে কুপিয়ে হাতে জখম করা হয়। এ ছাড়া বুকে, পিঠে আরও একাধিক জখম করা হয়। রহিমা বেগম, আরফা বেগম, আক্তার বানু সহ ওই মহিলার তিন কন্যা জানায়, আমার মা বিধবা। সংসারে দু’ভাই থাকলেও এক ভাই পৃথক বসবাস করছে। আমাদের মা অত্যন্ত অসহায়। ফরিদ অহেতুক কুপিয়ে মাকে জখম করে।
———————
পেকুয়ায় পুলিশ উদ্ধার করল নিহত মানিকের লুঙ্গি
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় পুলিশ উদ্ধার করল নিহত মানিকের পরনের লুঙ্গি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়াকাটা এবিসি সড়কের ঢালু অংশ থেকে এ লুঙ্গিটি উদ্ধার করে। গত ২৬ অক্টোবর বিকেলে বারবাকিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম পাহাড়িয়াখালী জড়পাথর বিল থেকে একটি গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধান ক্ষেতে লাশটি মস্তকবিহীন গলাকাটা অবস্থায় জমিতে পতিত ছিল। এ সময় ঘাস কাটতে গিয়ে এক কিশোর লাশটি দেখতে পান। এ সময় পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। কিছুদুর একই বিল থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় লাশের মস্তক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের তিন দিন পর লাশটির পরিচয় মেলে। সনাক্ত করা হয় উদ্ধার হওয়া এ লাশটি উজানটিয়া ইউনিয়নের ঠান্ডারপাড়া এলাকার মোক্তার আহমদের ছেলে মানিকের। তার মা জিগারা বেগম ওই দিন পেকুয়া থানায় হাজির হন। তিনি পুলিশকে নিশ্চিত করেছেন উদ্ধার হওয়া লাশটি তার ছেলে মানিকের। গত ১ নভেম্বর চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পৃথক দুটি আবেদন প্রেরন করেছেন ভিকটিমের পরিবার। সম্পুরক এজাহার হিসেবে গন্য করতে একটি আবেদন করা হয়েছে। সেখানে আসামীদের নাম দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মানিকের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করতে পৃথক আবেদন করা হয়েছে। লাশ উত্তোলন করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। ওই দিন সকালে ছেলের লাশ উদ্ধারের স্থান দেখতে যান মোক্তার আহমদের স্ত্রী জিগারা বেগম ও তার সন্তানরা। পরিবারের কয়েকজন সদস্য জড়পাথর বিলের ধান ক্ষেত অতিক্রম করে একটি আইল দিয়ে সড়কে পৌছছিলেন। এ সময় আঞ্চলিক মহাসড়ক বারাইয়াকাটা বারবাকিয়া সড়কের একটু পশ্চিম পার্শ্বে একটি লুঙ্গি দেখতে পান। এ সময় লুঙ্গিটি নিহত মানিকের বলে নিশ্চিত করা হয়। জিগারা বেগম জানায়, খুনিরা আমার ছেলেকে ওই স্থানে নিয়ে আসে। সেখানে ধস্তাধস্তি হয়েছে। মাটি সরে গেছে। এ ধরনের চিত্র আমরা দেখেছি। লুঙ্গিটি আমার ছেলে মানিক পরিধান করত। মুলত এ লুঙ্গিটি মানিকের বাবার। মানিক বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় তার পিতার এ লুঙ্গি পরেছে। এ সময় পেকুয়া থানার এস,আই কিশোর লুঙ্গিটি উদ্ধার করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
———————-
পেকুয়ায় সভাপতিকে মামলায় জড়ানোর নিন্দা করল স্বেচ্ছাসেবকলীগ
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় সভাপতিকে মামলায় জড়ানোর নিন্দা ও প্রতিবাদ করল স্বেচ্ছাসেবকলীগ। এক বিবৃতিতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ পেকুয়া শাখার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আমরা সত্যিই মর্মাহত হয়েছি। আমাদের সংগঠনের সভাপতিকে একটি হত্যা মামলায় জড়ানোর পায়তারা চলছে। ওসমান গণি একজন রাজনৈতিক কর্মী। পাশাপাশি তিনি একজন জনপ্রতিনিধি। গত ইউপি নির্বাচনে বিপুল ভোটে তিনি সদস্য নির্বাচিত হন। সাবেক এ ছাত্রনেতা মুজিব আদর্শের লড়াকু সৈনিক। স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রাম তার ভূমিকা ছিল বলিষ্ট। বিএনপি ও জোট সরকারের শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের রাজনীতির জন্য রাজপথে নিরলস সংগ্রাম করেছেন। তিনি পেকুয়ায় আ’লীগের রাজনীতির নির্ভয় অকুতোভয় সৈনিক। যে কোন সংগ্রামের জন্য সব সময় ছিলেন অবিচল ও প্রানোচ্ছল। সম্প্রতি লাশ উদ্ধার হয়েছে। আদালতে সম্পুরক এজাহারে তাকে বিবাদী করা হয়েছে। সেটি জানার পর আমরা অত্যন্ত বিচলিত। আমরা এ রাজনৈতিক কর্মীকে খুব নিকট থেকে দেখেছি। এমন নৃশংস ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ত থাকার প্রশ্ন অবান্তর। আমরা মনে করি এখানে গভীর চক্রান্ত হচ্ছে। একজন নিস্পাপ শিশু খুন হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা বের করে আসল খুনীদের চিহিৃত করতে হবে। নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী করছি এবং ওসমান গণির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাখ্যানসহ আমরা এক যোগে নিন্দা করছি। গতকাল ২ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবকলীগ পেকুয়া উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে এক প্রেস নোট এর মাধ্যমে উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে। বিবৃতিদাতারা হলেন- উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সহসভাপতি জসিম উদ্দিন, সোহরাব চৌধুরী, আবু তৈয়ব, মোহাম্মদ পেচু, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল লতিফ জুয়েল ও আনসারুল ইসলাম। আবদুল খালেক সাংগঠনিক সম্পাদক, নুরুল আবছার ও মকছুদ মিয়া সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক ডাক্তার মোসলেম উদ্দিন, সহ প্রচার সম্পাদক মিজান, আইন বিষয়ক সম্পাদক আতাউল, অর্থ সম্পাদক নুরুল ফাহিম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মৌলভী আক্তার, সদস্য মোহাম্মদ হোসাইন, সোলতান মোহাম্মদ রিপন, নুরুল আবছার, জাহাঙ্গীর, ইসমাইল, বজল আহমদ, হেলাল, বেলাল উদ্দিন এমইউপি, ফোরকান, আলী হোসেন, আলমগীর, গিয়াস উদ্দিন, সাইফুল হক, সাজ্জাদ ও নুরুল আমিন প্রমুখ।
পাঠকের মতামত: